ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ খাদ্য কর্মকর্তা চলতি মৌসুমে নানা অনিয়মে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি জুয়েল আরেংকেও অবহিত করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, আমন ধান সংগ্রহে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় কিছু সাধারণ কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করলেও বিল আটকে রাখা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে কৃষকের কাছ থেকে মণ প্রতি ২ কেজি করে ধান ও ৫০০ টাকা করে উৎকোচ আদায় করছেন এই কর্মকর্তা। টাকা না দিলে বিল আটকে রেখে কৃষকদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কাছে কৃষকদের জিম্মি করতে এ অনিয়ম এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
অভিযোগে আরও জানা যায়, কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে কাগজপত্রে ক্রয় দেখানো হয়। সাথী অটো রাইস মিল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে ক্রাশিং দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
অন্যদিকে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে ৫-৭ টন। কিন্তু কাগজে কলমে দেখাচ্ছে ৫০-৬০ টন। এতে লাভবান হচ্ছে মিল মালিক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আর বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ কৃষক। ক্রাশিং বরাদ্দ আদেশের পূর্বে গুদামে ধান ক্রয়ের পরিমাণ এবং ক্রাশিং বরাদ্দ আদেশের পরবর্তী সংগ্রহের পরিমাণ সাপ্তাহিক গড় মিলালেই এ অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। যা তদন্তে প্রমাণিত হবে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট খাদ্য গুদামে চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান কেনা হয়েছে। এ জন্য হালুয়াঘাট উপজেলায় লটারির মাধ্যমে কৃষকদের নির্বাচিতও করা হয়ে ছিল। এবার এ উপজেলায় দুই হাজার ৫১২ টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে কেনার কথা থাকলে সাধারণ কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ৪০ কেজিতে মণ হিসাব করে ধান ক্রয় করেছি। তবে ধানের আর্দ্রতা ও বস্তার কারণে ওজন কিছুটা হেরফের হতে পারে। তবে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেছেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন