কাজ না করেই ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে বিক্রির পর টাকা আত্মসাৎ করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন মকবুল গাজী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে প্রকল্পের কাজের কথা বলা হয়েছে সেখানে বর্তমানে মাছের ঘের। কাজের নামে ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে তা বিক্রি করে সব টাকা মেরে দিয়েছেন তিন কর্মকর্তা।
লিখিত অভিযোগে বাগালী ইউনিয়নের গুপিরায়ের বেড় এলাকার মৃত কোনাই গাজীর ছেলে মকবুল গাজী উল্লেখ করেছেন, কয়রা উপজেলার ২নং বাগালী ইউনিয়নের মালিখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটির কাটার জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৩০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। এই প্রকল্পের চেয়ারম্যান হলেন ইউপি সদস্য হোসনে আরা খাতুন।
তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা ও ঘুগরাকাটি খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা নুরুন্নবী সিদ্দিকী যোগসাজশ করে প্রতারণা করেছেন। প্রকল্পের কাজ না করেই গত ২ ফেব্রুয়ারি ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করেন তারা। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ২১ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে ১১৫ মেট্রিক টন গম ঘুগরাকাটি গুদামে নিয়ে যান। ওসব গম গুদামে না নিয়ে নৌকা থেকে ট্রাকে তুলে দেন। পরে সেই গম বিক্রি করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে গম বিক্রির ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা তিনজন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য হোসনে আরা খাতুন বলেন, কাজ না করেই গম উত্তোলন ঠিক হয়নি। তবে অচিরেই কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তবে কাজ শেষ না করে গম উত্তোলনের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন