কাঙ্খিত জমি লিখে না দেওয়া এবং পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গাজীপুরের শ্রীপুরে আব্দুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে- শ্যালক লাদেন ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক হারুনের সহায়তায় তাকে হত্যা করেছেন তৃতীয় স্ত্রী সামিরা।
এমন অভিযোগ করে নিহতের ছোট ভাই আব্দুল আওয়াল বলেন, আমার ভাই জমি কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। বছর দুয়েক আগে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কাছ থেকে এক খণ্ড জমি কেনেন তিনি। পাশেই নয়নপুর বাজার এলাকায় দোকান ছিল সামিরার। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় ও প্রেম হয়।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ
গোয়েন্দা পুলিশের নির্যাতনে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
গাজীপুর উন্নয়ন কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় সংসদে বিল
দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সামিরাকে বিয়ে করেন রহমান। বিয়ের পর সামিরাকে নিয়ে ফরিদপুর গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।
আব্দুল আওয়াল অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই সামিরা তার ভাইকে ওই জমি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। বিয়ের আগে সামিরার সঙ্গে হারুন মিয়া নামে এক ব্যক্তির গোপন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রথমদিকে বিষয়টি আব্দুর রহমানের জানা ছিল না। পরবর্তীতে পরকীয়া প্রেমে বাধা এবং জমি লিখে না দেওয়ায় সামিরা ও রহমানের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। এরই জেরে সামিরা তার ভাই লাদেন ও প্রেমিক হারুনকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুর রহমানকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, সামিরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সামিরা পলাতক আছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। খুব দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিবাগত মধ্য রাত আড়াইটায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) মজনু মিয়ার ভবন থেকে আব্দুর রহমানের (৪৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন