টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাসেন আলী নামে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হাসেন আলী উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের বেরীবাইদ গ্রামের মৃত মানিক মন্ডলের ছেলে। ধর্ষিতা শিশুটি পার্শ্ববর্তী একদিন মজুরের সন্তান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক হাসেন আলীকে আটক করে সোমবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতা শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া, সন্দীপ সিমসাং ও ফারুক আহমেদসহ এলাকাবাসী জানান, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে চিপসের লোভ দেখিয়ে হাসেন আলী তাকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির ধস্তাধস্তিতে মুখের গামছার বাঁধন খুলে গেলে শিশুটির ডাক-চিৎকারসহ কান্নার শব্দে পাশের বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক হাসেন আলীকে আটক করে রাখে এবং মধুপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বেরীবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিংকন চাম্বুগং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটি বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার চাই।
বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন জানান, আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা শুনামাত্রই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জানান, সোমবার শিশুটিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ করাসহ অভিযুক্ত হাসেন আলীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন