ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর কী পরিমাণ জুলুম, নির্যাতন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গুম, খুন, ধর্ষণ কী-না হয় সেখানে! ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জনজীবন সম্পুর্ণ অচল। ফিলিস্তিন যে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র, ইসরাইলের নিত্য পৈশাচিকতা দেখলে কোনোভাবেই তা বোঝার উপায় নেই।
মক্কায় উমরাহ করতে আসা এক ফিলিস্তিনির সাথে কথা বলেন ইনসাফের বিশেষ প্রতিনিধি আরিফ মুসতাহসান। এসময় ক্ষণিকের আলাপে ফিলিস্তিনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন পঞ্চাশোর্ধ ওই ফিলিস্তিনি। তার নাম আব্দুল্লাহ আল জুহাইনি। জুহাইনির জন্মস্থান ফিলিস্তিনের বিপ্লবী শহর গাজা অঞ্চলের আল নুসাইরাতে। গাজার প্রতিটি শিশুর মতো তিনিও বেড়ে উঠেছেন দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মিছিলে। তবে শৈশবের সেই সোনাঝড়া দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে অস্বীকৃতি জানান তিনি। হয়তো বা ইসরাইলের হাতে শৈশবের কোনো বন্দী-দিন তাকে আচ্ছাদিত করছে বারবার। পিতার নির্দেশে তিনি পাড়ি জমান মিশরের কায়রোতে। স্বপ্ন এখন নিরাপদ শিক্ষালাভ। পড়ালেখা সম্পন্ন করে সেখানেই দীর্ঘদিন চাকরি করেন জুহাইনি। পরে ভালো সুযোগ পাওয়ায় এসেছেন সৌদি আরবের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এখন এখানেই কর্মরত।
ফিলিস্তিনিরা কীভাবে সৌদি আরব আসেন এবং উমরাহ বা হজ্ব করতে চাইলে কিভাবে তা সম্পন্ন করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জুহাইনি বলেন, আমাদের জন্য সবকিছুই কঠিন। তবে অসম্ভব না। গাজা অঞ্চলের যারা অন্য দেশে যেতে চায়, তাদের জন্য বিকল্প পথ মিশর। সেখান থেকে স্থলপথ, নৌপথ অথবা আকাশপথে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করা ব্যাক্তি ইচ্ছাধীন।
মিশরকে মাধ্যম করে তাদের বহির্গমণ কিভাবে হয়? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গাজা উপত্যকা থেকে প্রথমে আসি আল উশাইর। তারপর আন নুওয়াইবি থেকে আকাবা উপসাগর পাড় হয়ে সৌদিতে প্রবেশ করি। এছাড়াও অনেকে আস-সুওয়াইস(সুয়েজ), আল ইসমাঈলিয়া, আল মানসুরিয়া ও কায়রোতে যার যার সুবিধা মতো পরিচিত ও আত্মীয়বর্গের সাথে মিলিত হন। তারপর নিজের ইচ্ছেমতো যেখানে খুশি যান। কারো পরিচিত কেউ থাকলে তার জন্য অন্য দেশে ভ্রমণ করা সহজ হয়।
মিশর কি আপনাদের জন্য নিরাপদ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আল্লাহ চাইলে সব জায়গাই নিরাপদ। সমস্যা সবখানেই থাকে, আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হয়। মিশরের সরকার নিয়ে কিছু বলবো না, তবে মিশরের মানুষ খুবই আন্তরিক। ফিলিস্তিনি পরিচয় দিলে তারা সাদরে গ্রহণ করেন। অনেকসময় সরকারি বাহিনীও আমাদের সহায়তা করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন