কথায় আছে- ‘সৃষ্টিকর্তা যখন যাহা করেন, তখন তাহার ভালোর জন্যেই করেন।’ কেননা, ভৈরবে ভিক্ষুকের কোলে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতক যাবে এবার কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর ঘরে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। এ সময় তার অনুভূতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিশুটিকে দত্তক হিসেবে পেয়ে তার খুব ভালো লাগছে, একই সঙ্গে মনে আনন্দ লাগছে। তার সহধর্মীনি সুমনা আনোয়ার ও তিনি নিজে নবজাতককে আদর স্নেহে লালন-পালন করবেন। শুধু তাই নয়, আগামী বৃহস্পতিবার সকালে নবজাতককে নিতে আসবেন তিনি।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেন ডিসি। পরে রাতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল বারী নবজাতককে জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরীকে দত্তক হিসেবে দিতে আদেশ জারি করেন। তবে বর্তমানে শিশুটি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার মাতৃস্নেহে রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ইউএনও লুবনা ফারজানার কাছ থেকে আনুষ্ঠাকিভাবে জেলা প্রশাসক শিশুটিকে কোলে তুলে নিবেন ।
প্রসঙ্গত: গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড়ের বঙ্গবন্ধুর মুর্যারের কাছে ’আমি আসছি’ বলে এক ভিক্ষুক মহিলার কোলে ৩দিন বয়সী নবজাতককে (কন্যা) রেখে পালিয়ে যায় এক নারী। পরে ওই ভিক্ষুক পাশের একটি ফার্মেসির মালিক আশরাফুল আলম মুকুলকে বিষয়টি জানায়। ঘটনাটি শোনে মুকুল ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করে ভৈরব থানায় সাধারন ডায়েরি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে অনেকে নবজাতকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে আদালতে আবেদনের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী। পরে আদালত এতে সম্মতি দেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন