প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে মাকে হত্যা করেছেন মেয়ে। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন প্রেমিকসহ তিন বন্ধু।
মানিকগঞ্জের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় মাহমুদা বেগম হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান আটক জ্যোতি আক্তার।
সোমবার বিকেলে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র বিচারক শাকিল আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শামীম আল-মামুন জানান, নভেম্বরে জ্যোতির বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে ফেসবুকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের নাঈমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা নিজেরা বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু জ্যোতির মা মাহমুদা এতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান। পাশাপাশি মেয়েকেও শাসন করতেন।
এসআই শামীম জানান, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক নাঈমের সঙ্গে জোট করে জ্যোতি মাকেই হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার আগের দিন ২১ জানুয়ারি রাতে নাঈম, রাকিবসহ আরো দুই বন্ধু অবস্থান নেন জ্যোতির শয়নকক্ষে। তাদের দেড় লাখ টাকায় ভাড়া করা হয়। এর মধ্যে জ্যোতি তার স্বর্ণালংকার ও ১৬ হাজার টাকা দিয়ে হত্যাকারীদের প্রাথমিকভাবে কিছু শোধ করেন। রাতেই হত্যার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, পরদিন সকালে জ্যোতির বাবা জহিরুল ইসলাম বাড়ির বাইরে যান আর মা সেলাই মেশিনে কাজ করতে বসেন। এ সুযোগে নাঈমসহ আরো দুইজন মাহমুদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডকে ডাকাতি সাজিয়ে ওই সময় বক্তব্য দেন জ্যোতি আক্তার। কিন্ত তার কথাবার্তায় অসংলগ্ন থাকায় ঘটনার দিনই তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে নাঈম ও রাকিবকে আটক করা হয়। অন্য দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আটকদের কোর্টে হাজির করার পর জ্যোতিকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তিনি রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডেইলি বাংলাদেশ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন