ভৈরবে গণধর্ষণসহ দুটি ধর্ষণের ঘটনার ৪১ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত একজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পর ১৩ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষনের শিকার হয়। খালার সঙ্গে রাগ করে টঙ্গী থেকে বাসে উঠে রাত সাড়ে ৮টায় ভৈরবে পৌঁছে ওই কিশোরী। পরে সিলেট বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য একটি রিকশায় উঠলে গণধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী।
ওই দিন চার যুবক ভৈরব রেলস্টেশনের কাছে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়। এরই মধ্যে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় কিশোরী। আদালতের আদেশে বর্তমানে কিশোরী টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে রয়েছে।
এর আগে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় শাকিল নামের এক যুবক পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন ওই যুবক বাড়ির পাশের মাহফিল থেকে ডেকে শিশুটিকে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিললে থানায় মামলা করা হয়।
মামলার পর ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নিতে ১৩ জানুয়ারি নির্যাতিত শিশুর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপরও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ইতোমধ্যে দুটি ঘটনার ৪১ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত একজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, অপরাধীরা পলাতক। তাদেরকে ধরতে বার বার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
শিশু ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ বলেন, অপরাধী শাকিল পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত ধরা পড়বে।
কিশোরী গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পেরেছি আমরা। এরই মধ্যে অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের নাম ঠিকানা জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ, র্যাবসহ রেলওয়ে পুলিশ একযোগে কাজ করছে। অপরাধীরা পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। দ্রুতই অপরাধীরা ধরা পড়বে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন