ভারতের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন দেশটির ঐতিহাসিক ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে ভারতের লোকসভায় যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও আর্ল ই মিলারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। খবর বাসসের।
ভারতের লোকসভায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে যে অভিযোগ তুলেছেন তা নাকচ করে দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এ অভিযোগ সত্য নয়। যারাই এই তথ্য দিয়েছেন, তারা সঠিক তথ্য দেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের লোকসভায় এক দুই দিন আগে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ২০১৯ সহিষ্ণু ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে দেশটির ঐতিহাসিক অবস্থান দুর্বল করবে।
তিনি বলেন, ভারত ঐতিহাসিকভাবে এটি সহিষ্ণু দেশ, যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। এ থেকে বিচ্যুত হলে তাদের ঐতিহাসিক অবস্থান দুর্বল হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে এবং চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে সকল ধর্মের অনুসারীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নেতৃত্ব এটা নিয়ে কথা বলবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা কাউকে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বিচার করি না আমাদের কাছে সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন