ভাই আমাকে বাঁচান, আমি পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি, ভাই…’, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এভাবেই আর্তনাদ করতে দেখা যায় কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধ হওয়া ব্যক্তিদের।
তাদের আর্তনাদে চোখে পানি চলে আসে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সবার। একসঙ্গে এত রোগী আসায় প্রশাসনের নির্দেশক্রমে তাদের সেবায় হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগ থেকেও ছুটে আসছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। সহায়তা করছেন ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারাও।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুন লাগে।
এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। এছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩২ জন।
খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন ছুটে আসেন বার্ন ইউনিটে। বর্তমানে তার নির্দেশনাতেই বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা একযোগে দগ্ধদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
ঢামেক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দগ্ধের সংখ্যা কত, তা এখনোও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ৩২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম। তিনি বলেন, রোগীদের খোঁজ নিতে এসেছি। অধিকাংশ রোগীরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন