নানা ঘটনায় বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ইডেন মহিলা কলেজ। চলতি বছরের দ্বিতীয় মাসেই নিজ বাসায় খুন হন ইডেন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। এই বছরেই ইডেন কলেজের অন্ত:ত ৪ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার শিকার হয়ে সায়মা কালাম মেঘা নামে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া জুলাইয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে একই দিনে ইডেন কলেজের দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় কাঁদিয়েছে ইডেন পরিবারসহ দেশবাসীকে। বছরের শেষদিকে উবারের বাইক থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হন জুঁই নামে এক ছাত্রী। গত নভেম্বরে ছাত্রলীগ নেত্রীর কোপে হাত কেটে যায় আরেক নেত্রীর। এনিয়েও দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এর বাইরে ট্রেন থেকে ইডেনের ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনাও বেশ আলোচিত হয়। এছাড়া বছরজুড়েই ছোটখাট ঘটনায় আলোচিত ছিল ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস।
নিজ বাসায় ইডেন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল খুন : নিজব বাসায় খুন হয়েছেন ইডেন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। এঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি হত্যার ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় বাসার দুই গৃহকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদের চৌধুরী এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হল-রূপা ওরফে রেশমা ও স্বপ্না। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা কলেজের সামনের বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ারে’ থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকর্মী পালিয়ে যায়।
আইনজীবী হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ : ইডেন মহিলা কলেজছাত্রী আকলিমা আক্তার জুঁইয়ের ইচ্ছা ছিল আইনজীবী হওয়ার। সেভাবেই তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। তবে একটি দুর্ঘটনা তার সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। উবারের বাইক থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন জুঁই।
জুঁইয়ের বাবা আবুল কালাম জানান, ৩০ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে জুঁই তার সাথে কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বিজয় স্বরনীতে উবার থেকে পড়ে মারাত্বক আহত হয়। ওই সময় সুমন নামের এক পত্যক্ষদর্শী জুঁইকে প্রথমে আলরাজি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০২ ডিসেম্বর মারা যান জুঁই।
জুঁইয়ের বড় বোন তানজিনা আক্তার ডালিয়া জানান জুই সব সময় পড়া লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ভবিষ্যতে যে আইন পেশায় জড়িত হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছিল। জুঁই চাটখিল সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করে ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
ডেঙ্গুজ্বরে না ফেরার দেশে ইডেন কলেজ ছাত্রী : ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইডেন মহিলা কলেজের আরও এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্রীর নাম ইভা আক্তার। ০৪ আগস্ট রাতে ঢাকার মুগদা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইভা ইডেন মহিলা কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের খালেক মোল্লার মেয়ে। ১০ বছর আগে গ্রামের বাড়ি নদীতে ভাঙার কারণে ইভা বাবা-মা ও বড় বোনের সঙ্গে ঢাকার আহম্মদাবাদে থাকতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরদিন ইভাকে ঢাকার মুগদা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই ক্লিনিকে ভর্তি রেখেই তার চিকিৎসা চলতে থাকে। চিকিৎসাধীন ০৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়। টঙ্গীবাড়ীর হাসাইল সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ডেঙ্গুজ্বরের ৫দিনেই শান্তার মৃত্যু : ইডেন কলেজের একাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ফাতেমো আক্তার শান্তা। বাবা শামসুদ্দিন মিয়া পরিবারকে নিয়ে থাকতেন ঢাকার হাজারীবাগে। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন শান্তা। তাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। জুলাইয়ের শুরু থেকে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর পরিবারের সবাই আতঙ্কের মধ্যে ছিল। চারপাশে মৃত্যুর খবরে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষায় জোরও দেয়া হয়েছিল। এদিকে শান্তার হালকা জ্বর হলে তাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পরেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার শরীরের অবস্থা আর উন্নতি হচ্ছিল না। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ০৪ আগস্ট শান্তা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু বরণ করেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মাথায় তিনি মারা যান।
ভিডিও কল দিয়ে ইডেন ছাত্রীর আত্মহত্যা, সেই ‘বয়ফ্রেন্ড’ কারাগারে : ইডেন কলেজ ছাত্রী সায়মা কালাম মেঘা গত ২১ এপ্রিল বয়ফ্রেন্ড মাহিবীকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছিলেন। এসময় মেঘার আকুতিতেও তার মন গলেনি। সেই লম্পট ও প্রতারক বয়ফ্রেন্ডকে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইডেন কলেজ ছাত্রী মেঘাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় বাধ্য করার অভিযোগে দীর্ঘ ৭ মাস পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ০৭ এ আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন মাহিবী হাসান, তার মা সেলিনা নাফিজ ও বোন নওরীন বন্যা। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ খাদেম উল কায়েস মাহিবী হাসানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তার মা ও বোনের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকার ৭৪/১ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে ইডেন কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের ছাত্রী সায়মা কালাম মেঘার লাশ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। তিনি ঝালকাঠির পূর্ব চাদকাঠি এলাকার আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। ওইদিন রাতেই কলাবাগান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে নিহতের চাচা আবুল বাশার। ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মেঘার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।
মেঘার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মেঘার বাবা আবুল কালাম আজাদ (৫৫) অভিযোগ করেন, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় শহরের পূর্বচাদকাঠি এলাকার মৃত. মো. নফিজুর রহমানের ছেলে বরিশাল হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মাহিবী হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেঘার। ২০১৭ সালে মেঘা ঢাকা ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। কাঁঠালবাগান এলাকায় এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতো মেঘা। ঢাকায় গিয়ে মাহিবী হাসান প্রায়ই মেঘার সাথে দেখা করতো। মাস ছয়েক আগে মেঘা এবং মাহিবী বিয়ের ব্যাপারে একমত হলেও বাধঁ সাধেন মাহিবীর মা ঝালকাঠি কির্ত্তীপাশা হাসপাতালের নার্স সেলিনা বেগম। গত ২১ এপ্রিল মাহিবীকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করে মেঘা।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর গত ৪ জুলাই সায়মা কালাম মেঘার মা রুবিনা বেগম বাদি হয়ে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ০৭ এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ও ৩০ ধারায় একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাহিবী হাসান, তার মা সেলিনা নফিজ ও বোন নওরীন বন্যাকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় মাহিবী হাসান মেঘার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এক পর্যায় বিয়ে করতে অস্বীকার ও আত্মহত্যায় বাধ্য করে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর ঢাকা মেট্রোর পরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন মৃত্যুর পূর্বে মেঘার লেখা চিঠি, মাহিবী হাসান ও মেঘার বিভিন্ন সময়ে তোলা ২৮ কপি ছবি, তাদের ম্যাসেঞ্জার ও ইমুতে হওয়া চ্যাটের ২৫ পাতা কাগজ এবং মাহিবী ও মেঘার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ১২ টি ভিডিও পর্যালোচনা করে গত ৬ অক্টোবর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিচারক মোঃ খাদেম উল কায়েস প্রধান আসামী মাহিবী হাসান, তার মা সেলিনা নফিজ ও বোন নওরীন বন্যার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ২৭ নভেম্বর উল্লিখিত তিনজন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মাহিবীর জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মকবুল হোসেন।
ছাত্রলীগ নেত্রীর কোপে হাত কাটলো আরেক নেত্রীর : বহিরাগত এক ছাত্রীকে ইডেন কলেজের আবাসিক হলে রাখা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে গত ০৯ নভেম্বর। এ সময় এক ছাত্রলীগ নেত্রীর চাকুর কোপে আরেক নেত্রীর হাত কেটে যায়। এছাড়া ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম মাহবুবা নাসরিন রুপা। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আর ভুক্তভোগী ও আহতের নাম সাবিকুন্নাহার তামান্না। তিনি ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য।
এদিকে কোপ খাওয়া ওই ছাত্রলীগের নেত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়েও বেশ আলোচনা শুরু হয়। তিনি লিখেছেন, ‘কাক নাকি কাকের মাংস খায় না। কিন্তু ছাত্রলীগের মাংস ছাত্রলীগ খায়। বারবার প্রমাণিত’। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ইডেন কলেজের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামে একজন বহিরাগত থাকতেন। তাকে হলে রাখা নিয়ে অনেকদিন যাবৎ সমস্যা হচ্ছিল। শনিবার ভোরে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনুর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ওই হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে নাবিলাকে বের হয়ে যেতে বলে এবং তাকে হুমকি দেয়। অনুর অনুসারীদের একজন ছিলেন সাবিকুন্নাহার তামান্না। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির খবর পেয়ে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা দৌড়ে যান ২১৯ নম্বর কক্ষে। রুপা সেখানে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাবিকুন তামান্নাকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয় রুপা। পরে অন্যপক্ষ রুপার গ্রুপের কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। এ ঘটনায় বহিরাগত নাবিলাকে লালবাগ থানায় হল প্রশাসনের মাধ্যমে সোপর্দ করা হয়।
ট্রেন থেকে নামতে না পেরে ইডেন নিখোঁজ বিন্দু : ইডেন কলেজ ছাত্রী নাফিসা নেওয়াজ বিন্দু গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরায় খালার বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। কমলাপুর ট্রেনস্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনে উঠেন বিন্দু। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উত্তরা স্টেশনে নামতে পারেনি তিনি। বিকেলের দিকে নাফিসা তার মাকে শেষ বারের মতো ফোন দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন ‘মা আমি উত্তরা স্টেশন মিস করে ফেলছি। এখন ট্রেন কোথায় আছে জায়গাটা চিনতে পারছি না। পরের স্টেশন এলে নেমে বাস ধরে যাবো।’
এরপর আবার ফোন করে মাকে নাফিসা বলেন মা আমি গাজীপুরের দিকে আছি (ট্রেনে)। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাফিসার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার মার। এরপর অনেকবার ফোন করলে নাফিসার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। পরে অবশ্য বিন্দুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিন্দুর নিখোঁজ নিয়েও নানা মুখরোচক গল্প বানিয়ে ফেইসবুকে প্রচার করা হয়, যদিও এসবেসর সত্যতা মেলেনি।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন