সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সম্পর্কে চালক, হেলপার ও জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রচারণা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চালক ও হেলপারদের নির্ধারিত বাস স্টপেজে বাস থামানো, চলন্ত অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি না চালানো, গাড়ি চালনার আগে গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র সঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া, মহাসড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি না চালানো এবং পথচারীদের রাস্তা পারাপারে যেমন-ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় মেনে চলার জন্য চালক, হেলপার ও পথচারীদের আহ্বান জানানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মহাখালীর আমতলী মোড় এলাকায় ডিএমপি অভিনব এক পদক্ষেপ নেয়।
একজন বাইকার উল্টোপথে আসায় তাকে জনসচেতনামূলক প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে দিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা। কাওসার আলী নামের ওই বাইকারকে সেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলা হয়।
বাইকার কাওসার কালের কণ্ঠ বলেন, উল্টোপথে আসায় মামলা না দিয়ে সার্জেন্ট আমাকে জনসচেতনামূলক প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে দিয়েছেন। এটা ডিএমপির একটা জনসচেতনার জন্য ভালো উদ্যোগ। আমার উল্টোপথে আসা ঠিক হয়নি।
পথচারী নজরুল ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার না হয়ে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়েই পার হচ্ছিলেন। তাকেও জনসচেতনতামলূক 'জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হোন' লেখা প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা।
নজরুল কালের কণ্ঠকে বলেন, আমার ভুল হয়েছে।
দুটি ঘটনাই কালের কণ্ঠের স্টাফ ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমানের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
মহাখালীর আমতলীর মোড়ে নিয়োজিত ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা কালের কণ্ঠকে বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করতে ট্রাফিক বিভাগের চলছে বিভিন্ন কার্যক্রম। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যখন দেখি সাধারণ মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারারার হচ্ছেন। কিংবা কেউ আইন মানছেন না। তখন ঠিক শাস্তি নয়, তাদেরকে ট্রাফিক আইন বুঝিয়ে প্রচারণামূলক কাজে কয়েক মিনিট কাজ করতে বলি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন