তালিয়ে আছে হাওরবাঁধ দিয়ে মাছ ধরা, অসময়ে অতিবৃষ্টি ও নদীর নাব্য সংকটে সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর পানি নামছে না। পানি না কমায় বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে বিলম্ব হচ্ছে বোরো চাষ। সময় মতো বোরো চাষ করতে না পারায় ধান পাকার মৌসুমেও ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের লালুগোয়ালা এলাকার শনির হাওর ও বৌলার নদীর পানি সমান্তরাল অবস্থায় রয়েছে। তাই হাওরের পানি স্থির।বদপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর তুলনায় হাওরের গভীরতা বেশি হওয়ায় আপার বৌলাই নদীর পানি হালির হাওরে ঢুকছে। জেলার হালির হাওর, সোনামোড়ল হাওর, পাকনার হাওর, দেখার হাওর, নলুয়ার হাওরসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক হাওরের পানি স্থির রয়েছে। গতবার এই সময় কৃষকরা চারা রোপণের কাজ শুরু করেছিলেন। এবার পানি না সরায় এখনও বীজতলা তৈরি করতে পারেননি তারা।
জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. সোবাহান মিয়া বলেন, ‘এবার কার্তিক মাসে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাই হাওরের পানি এখনও বেশি, নামতে দেরি হচ্ছে। দেরিতে বোরো আবাদ করতে হবে, তাই ফসল উঠবেও দেরিতে। ফসল ওঠার সময় আগাম বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে যেতে পারে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন