হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের দিন আদালত চত্বরে আসামির মাথায় কথিত ‘আইএস প্রতীক’সংবলিত টুপির রহস্য এখনো ভেদ করতে পারেনি পুলিশ। কারা বিভাগ ও পুলিশের পৃথক দুই তদন্ত কমিটিও জানতে পারেনি ওই টুপির সুনির্দিষ্ট উৎস সম্পর্কে। ফলে সেটি কারাগার থেকে এসেছে নাকি আদালত চত্বর থেকেÑ এ উৎস গতকাল পর্যন্ত অজানাই থেকে গেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। কারাগার থেকে ৮ আসামিকে বের করার ফুটেজ এবং আদালতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, আসামিদের বক্তব্যসহ আরও নানা দিক তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যায়। যদিও ‘আইএস টুপি’র প্রকৃত উৎস সম্পর্কে তাতে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
পুলিশের তদন্ত কমিটির একজন সদস্য জানান, কারাগার থেকে জঙ্গিদের আদালতে আনার সময় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাদের কাছে দুটি সাদা টুপি ও একটি
কালো টুপি ছিল। কারা কর্তৃপক্ষ ওই টুপিগুলো আনতে বাধা দেয়নি। পোশাকের অংশ হওয়ায় আনতে বাধা দেওয়ার কথাও না। অন্যদিকে কালো টুপির ভাঁজে ‘সিগনিফিকেন্ট’ কিছু লেখা ছিল কিনা, তা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে জঙ্গি রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান আদালতকে জানায়, ‘আইএস টুপি’টি সে আদালত থেকেই পায়। রায়ের পর এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় ভিড়ের ভেতর কেউ একজন তাকে ওই টুপি দিয়েছিল। তবে ওই ব্যক্তিকে সে চেনে না। পরে সেই টুপিটিই তার কাছ থেকে নিয়ে প্রিজনভ্যানে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী পরেছিল। কিন্তু রায়ের দিন আদালতের ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার এই তথ্যের কোনো প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি।
এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, জঙ্গি রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান একেক সময় একেক কথা বলছে। কখনো বলেছে কারাগার থেকে টুপিটি পেয়েছে, আবার কখনো বলেছে আদালত থেকে। আসলে সেই জানে টুপিটি কোথা থেকে পেয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন