টিকাটুলি থেকে: টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটে আমার তিনটি দোকান ছিল শুনেছি তিনটিই আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। খেয়ে না খেয়ে নিজের কষ্টের টাকা জমা রেখে এই দোকান কিনেছিলাম। আমার সব স্বপ্ন এখন শেষ। আমি কল্পনাও করতে পারছি না আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। কার কাছে বিচার দেবো? কোথায় প্রতিকার চাইবো? আমার ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যত কি হবে?
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর টিকাটুলির সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর এভাবেই সোনিয়া আক্তার ব্রেকিংনিউজের কাছে বর্ণনা করছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের টানা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী চাকরির অবসরের টাকা ও আমার জমানো শেষ সম্বল দিয়ে তিনটি দোকান কিনে ছিলাম। তিনটি দোকানে প্রায় ১৮ লাখ টাকার কাপড় ছিল। আজও প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো কাপড় বিক্রি হয়েছে। সেই টাকাগুলোও বাইরে আনতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ৩০ দোকান পুড়ে ছাই, সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীদের আহাজারি
তিনি আরও বলেন, দোকানের কর্মচারী আমাকে ফোন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তার আগেই আমার তিনটি দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সোনিয়া আক্তারের মতো ওই মার্কেটের আরেক কাপড় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। তিনি ব্রেকিংনিউজকে জানান, বিকেলে আমি দোকানেই ছিলাম সবাই আগুন আগুন বলে চিৎকার করছিল। পরে অন্যদের সঙ্গে আমি মার্কেটের বাইরে চলে আসি। বাইরে এসে দেখি শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া।
তিনি বলেন, আমার কাপড়ের দোকানে প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল ছিল। জানতে পেরেছি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম। প্রতি মাসে এখন ব্যাংকের ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবো?
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন