বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আব্দুস সবুর (৩৫) নামে এক পল্লি পশু চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে নান্দিয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সবুর উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম ফকিরের ছেলে ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম ও তার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
নিহত সবুরের চাচা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা বলেন, আব্দুস সবুর গবাদিপশুর পল্লি চিকিৎসক ছিলেন। পশু চিকিৎসা করানোর কথা বলে আজ বেলা দুইটার দিকে কামরুল ইসলাম ও তার লোকজন বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়ির উঠানে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আব্দুস সবুরকে আহত করে ফেলে চলে যায়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বসতবাড়ির ১৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আব্দুস সবুরকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে কামরুল ইসলাম ও তার লোকজন। গত কয়েক দিন আগে মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার অভিযোগে নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আব্দুস সবুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন