নড়াইলের লোহাগড়ায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যাক্তা নারী (২৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় থানায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পর প্রভাবশালীরা ভুক্তভোগীদের সালিসে বসে মীমাংসা করতে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার, গ্রামবাসী, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ধর্ষকের পিতার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতেন। লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের মৃত আবু সাইদ সরদারের ছেলে বর্তমানে খুলনার রূপসা থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল আল-মামুন সরদার (২৪) দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ ও ১৭ নভেম্বর রাতে জোর করে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করলে ওই নারী গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) লোহাগড়া থানায় আল-মামুন সরদারকে অভিযুক্ত করে মৌখিক অভিযোগ দেয়। পরে এলাকার প্রভাবশালীদের চাপে ওই নারী সালিসে বসতে বাধ্য হয়। প্রভাবশালীরা ৬০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে।
স্থানীয় সাংবাদিকদের ওই নারী বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আল-মামুন সরদার আমাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। আমি টাকা চাই না। ন্যায্য বিচার চাই।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লা-আল বারী বলেন, ওই নারী ১৮ নভেম্বর আমাদের কাছে মৌখিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু পরের দিন আবার থানায় এসে জানালেন মীমাংসা করে ফেলেছেন। শুনেছি অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ কনস্টেবল তাই বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার অভিযুক্ত আল-মামুন সরদারের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে ফোন দিলে সাংবাদিক শুনে ফোন কেটে দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন