খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বুধবার দুপুরে চালকল মালিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, দাম বাড়ানোর কোন কারণ নেই। দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দেশে কয়েক দিনে সব ধরণের চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। সময় ও ডিবিসি টিভি
আর আগে আড়তদার, মিল মালিক কিংবা খুচরো বিক্রেতা- সবাই একবাক্যে বলছেন এই সময়ে এভাবে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। টিসিবির হিসেবে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আর নাজির/মিনিকেট সাধারণ মান ৪৮থেকে ৫৩ টাকা; আর উত্তম মানের চাল ৫৩ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আর মোটা চাল অর্থাৎ স্বর্ণা/চায়না/ইরি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তুমুল শোরগোল শুরু হলে তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী দুজন চালকল নেতার বিরুদ্ধে মজুতদারির অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। দাম বাড়ছে কেন? পেঁয়াজ নিয়ে যখন তুমুল আলোচনার ঝড় চলছে, তার মধ্যে চালের দাম বাড়ছে কেনো – তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এমন প্রশ্নের জবাবে রাজধানীর বাবুবাজারের শিল্পী রাইস এজেন্সির মালিক কাওসার হোসেন বলছেন, যে দামে এখন চাল বিক্রি হচ্ছে সেটি বছরের এ সময়ে সাধারণত যে দামে চাল বিক্রি হয় তার চেয়ে কেজি প্রতি গড়ে ৪/৫ টাকা করে বেশি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন