পানছড়ি বাজারে প্রায় চার কেজি ওজনের বিশালাকার মাশরুম নিয়ে এসেছে এক কৃষক। এই মাশরুমটি একনজর দেখতে উপচে পড়ে উৎসুক দর্শনার্থীর ভিড়।
আজ সকাল ১০টায় এক ফাঁকে কথা হয় মাশরুম বিক্রেতা তালতলা গ্রামের বিশ্বনাথ দেওয়ানের সাথে। সে জানায়, বাড়ির পাশে পচে যাওয়া একটি বাঁশের মুড়া থেকে বছর দুয়েক ধরে বের হচ্ছে মাশরুম। এটাকে স্থানীয় ভাষায় 'বাসউল' বলা হয়। শ্রাবণ মাসে এর ফলন বেশি বলে তিনি জানান। কেজি বিক্রি করছেন ৩২০ টাকা দরে।
কয়েকজন উৎসুক দর্শনার্থী জানালেন, পারবো বাঁশ তথা ওঝা বাঁশের পচা গোড়া থেকেই এসবের জন্ম। তবে সব স্থানে হয় না। কৃষক বিশ্বনাথ দেওয়ান জানালেন, এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন কোনো ধরনের পুঁজি ছাড়াই। ছোট ছোট আকারের আরো কিছু রয়েছে যা মাসখানেকের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে।
পানছড়ির উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাংকর চাকমা জানান, সাভার জাতীয় মাশরুম কেন্দ্রে এসবের কোনো জাত নাই। এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। তবে সব মাশরুম খাওয়া যায় না। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কিছু কিছু মাশরুম খাওয়া বিপজ্জনক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, সঞ্জীব ত্রিপুরা জানান, অনেক মাশরুম বিষাক্ত থাকে। এটা কোন জাতের তা বলতে পারছি না। তবে এত বড় সচরাচর দেখা যায় না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন