পেঁয়াজের পাশাপাশি শাক-সবজির বাজারেও আগুন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শুক্রবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা, একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের কাঁচা শাক-সবজির দামও।
প্রতিকেজি পেঁয়াজে আরো ১০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী। এসময় পেঁয়াজের ক্রয়মূল্য প্রদর্শন করতে না পারায় ভোক্ত অধিকার আইনে মিহির চন্দ্র নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা আমদানি মূল্য প্রদর্শন না করে ইচ্ছেমত পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফুলবাড়ী পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ৮০-১০০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাঁচা সাক-সবজির দামও, গত দুই দিন আগে যে ফুলকপি প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, সেই ফুলকপি প্রতিকেজির মূল্য ৬০ টাকা, একই ভাবে বেড়েছে বাঁধাকপি, পোটল, আলু, শিম, পাতা পেঁয়াজ, করলা, গাজর, বেগুন, রসুন, টমাটো ও আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা শাক-সবজির দাম।
গতকাল পৌর বাজারে বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০ টাকা, পোটল ৪০ টাকা, আলু ৪০টাকাু, সীম ৬০ টাকা, পাতা পিয়াজ ১০০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, টমাটো ১০০ ও আদা ২৪০ টাকা কেজি দরে।
অথচ গত দুদিন আগেও বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২০ টাকা, পোটল ২৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, টমাটো ৬০ টাকা ও আদা ২০০ টাকা কেজি দরে।
সবজি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন বর্তমানে কাঁচা সবজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে সবজির আমদানি কমে গেছে, যার ফলে সবজির দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার সবজির পাইকারি বিক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন চারিদিকে আমন ধান কাটা শুরু হওয়ায়, সবজির চাহিদা বেড়েছে, বর্তমানে সবজি দেশের দক্ষিণাঞ্চরে রপ্তানি হচ্ছে। এই কারণে বাজারে সবজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নিঞ্জন কুমার বলেন, পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি অনেক কমে গেছে, আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজ সমুদ্র বন্দর থেকে নিয়ে আসতে পরিবহন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে, এতে পেঁয়াজের মূল্য ও ঘাটতি দুটোয় বেড়ে যাচ্ছে, এই কারণে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পিয়াজ ব্যবসায়ী আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে পেঁয়াজ আমাদানি করা হলে পরিবহন খরছ কমে যায়, এতে ঘাটতিও কমে যায়, কিন্তু মিয়ানমান, মিশরসহ অনান্য রাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় পরিবহন খরচ ও ঘাটতি বেড়ে যায়, যার ফলে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন