সকালে মেয়ে মিনুফাকে (২৩) শ্বশুরবাড়িতে রেখে চা পান করতে গিয়েছিলেন বাবা মোস্তফা শিকদার। ফিরে এসে পেলেন মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ। কারারক্ষী জামাইকে বিশাল অংকের টাকা দেয়ার পর একটি মোটরসাইকেল দিতে না পারায় মিনুফাকে মরতে হলো বলে অভিযোগ পরিবারের।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের স্বামী লোকমান শেখের ঘর থেকে মিনুফার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লোকমান শেখ বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ইছামতি গ্রামের খলিলুর রহমান শেখের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় নড়াইলের খাসিয়াল এলাকার মোস্তফা শিকদারের মেয়ে মিনুফার। বিয়ের পর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লোকমান শেখ শ্বশুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় লোকমান তার শ্বশুরের কাছ থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করেন। মেয়ে দেখতে সুন্দরী না হওয়ায় জামাইয়ের প্রায় সব চাহিদাই মেটানোর চেষ্টা করেন মোস্তফা শিকাদর।
তারপরও স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে মিনুফাকে। বাধ্য হয়ে মিনুফা বাবার বাড়ি চলে যান। তিন দিন আগে বাবা মোস্তফা শিকদার তাকে সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজের পর মোস্তফা শিকদার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে চা পান করতে যান। ফিরে এসে দেখেন তার মেয়ের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। তখন জামাই লোকমানকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
তেরখাদা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে মিনুফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, যে ঘরে মিনুফার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে ওই একই ঘরে ১০ বছর আগে লোকমানের ভাই আসাদুজ্জামান বাবুর স্ত্রী শ্যামলী আকতারের মরদেহও পাওয়া যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন