সীতাকুণ্ড থেকে নগরের চান্দগাঁওয়ে ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলমগীর। ছিনতাইকারীদেরকে বাধা দেওয়ায় কারণেই তাকে নির্মমভাবে খুন হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ চিকিৎসক ডা. শাহ আলমগীর। ওই লেগুনায় আগে থেকেই দুজন ছিনতাইকারী ছিলেন।
লেগুনাটি কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আরও দুজন ছিনতাইকারী লেগুনায় উঠেন। লেগুনা আরও কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর চার ছিনতাইকারী মিলে ডা. শাহ আলমগীরকে যা আছে তা বের করে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছরিকাঘাতে খুন করেন ছিনতাইকারীরা।
কাজী তারেক আজিজ বলেন, খুনের পর মরদেহের পরিচয় যাতে শনাক্ত করা না যায় সেজন্য ডা. শাহ আলমগীরের মুখ বিকৃত করে দেন ছিনতাইকারীরা। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মরদেহটি ফেলে পালিয়ে যান তারা।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরেই র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব জানতে পারে লেগুনাতেই খুন হন ডা. শাহ আলমগীর। পরে লেগুনাটির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে লেগুনা চালক ওমর ফারুককে (১৯) আটক করা হয়।
‘ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যেই জট খুলে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের। এর সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’ বলেন র্যাব-৭ এর এ কর্মকর্তা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন