নর্থবেঙ্গল পেপার মিলে পানি সরবরাহের জন্য পদ্মা নদীতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত বিশালাকৃতির সচল পন্টুনটি রহস্যজনকভাবে গত ৭ অক্টোবর রাতে উধাও হয়ে গেছে। বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে একইভাবে পানির ওপর ভাসমান অবস্থায় সুরক্ষিত থাকার মত স্থাপন করা পন্টুনটি হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, পদ্মায় হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির সুযোগে মিল কর্তৃপক্ষের কারো যোগসাজশে বিশেষ কোনো চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতের আঁধারে চুরি করতে পারেন। আবার কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত মিলটি বন্ধ থাকার পরও কী কারণে মূল্যবান পন্টুনটি স্থানান্তর করা হলো না?
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা জাসদ নেতা ও নদী এলাকার অধিবাসী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পন্টুন উধাও হওয়া রহস্যজনক। বিশালাকৃতির পন্টুনটি হারানোর কথা না, কারণ সেখানে মিলের নির্ধারিত পাহারাদার থাকে। আর কর্তৃপক্ষই বা কেন এত মূল্যবান সরকারি সম্পদটিকে মিলে নিয়ে সংরক্ষণ করল না? ভেসে গেলেও কেউ না কেউ দেখতে পেতেন।
পাকশী পেপার মিল সিবিএ’র সাবেক নেতা এম রশিদউল্লাহ বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। হঠাৎ করে উধাও হতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা জরুরি।
এ বিষয়ে মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম বলেন, পন্টুনের ভিতরের পাম্প মেশিন ও জেনারেটর খুলে নিয়ে মিলে সংরক্ষণ করা আছে। পন্টুনের তলা ফুটো হয়ে ডুবে যেতে পারে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পন্টুনের স্থানটিতে পানির এমন গভীরতা নেই যে, পন্টুনের ছাদও ডুবে যাবে। যেভাবেই পন্টুন উধাও হোক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন