ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় তরুণ গীতিকার জীবন মাহমুদের (তোফায়েল আলম) মুখে কালো কস্টেপ পেঁচিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টিপসই নেয়।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার নতুনবাজার তার নিজ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জীবন মাহমুদ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর দেয়ালের ভেতরেই ওঁৎ পেতে থাকা মুখে কালো কাপড় বাঁধা চার দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ সময় তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টিপ দিতে বলেন তারা, টিপ না দেয়ায় হাতে-বুকে ও পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে ওরাই বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে টিপসই নেয়। তাদের মধ্যে মিরাস নামে একজন রয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত হন।
গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বের কারণে দেনা-পাওয়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে, এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, গীতিকার জীবনকে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর/১৮ রাত সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর বাজার এলাকায় অপহরণের শিকার হন। নিখোঁজের দুদিন পর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার চেচরাখালী এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
নিখোঁজের ঘটনায় তার ছোট ভাই আবু রায়হান গৌরীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে উদ্ধারের পর কোনো মামলা হয়নি।
তৎকালীন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ২-৩ জন লোক তাকে অচেতন করে নিয়ে গিয়েছিল। যেহেতু তিনি সুস্থ এবং তার মোবাইল ও সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সার কোনোরূপ ক্ষতি হয়নি, তাই তারা মামলা করবেন না।
তোফায়েল আলমের (জীবন মাহমুদ) বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শালীহর গ্রামে। তিনি মরহুম হাজী মহব্বত আলী ও রাবেয়া খাতুন দম্পতির ৪র্থ ছেলে।
২০১৬ সালে ‘তোমার নামে বাজি ধরেছি’ গানের জন্য গীতিকার জীবন মাহমুদ পান ‘ডিসিআরইউ শোবিজ অ্যাওয়ার্ড’। ওই বছরের ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ পদক তুলে দেন। এ ছাড়া তিনি চ্যানেল আইয়ের সেরা তরুণ গীতিকার পদকও অর্জন করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন