জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত নারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার কোনো খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। ডিসির সঙ্গে তার আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পর থেকেই তাকে আর কোথাও দেখা যায় নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। কিন্তু এই নারীর সম্পর্কে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জানা গেছে, সাধনার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শুকনগরী গ্রামে। তার বাবার নাম খাইরুল ইসলাম। মায়ের নাম কুমকুম বেগম। এই দম্পত্তি নিঃসন্তান হওয়ার কারণে ১৯৯০ সালের বন্যার সময় দত্তক নেয় সাধনাকে।
ছোটবেলায় কোন একটা রোগের কারণে তার মাথার চুল ও ভ্রু পড়ে গিয়েছিল। এ কারণেই তিনি সবসময় হিজাব পড়েন।
স্থানীয়রা বলছেন, অপ্রাপ্ত বয়সেই বিয়ে হয় সাধনার। মাদারগঞ্জের জোনাইল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ফরহাদ তার প্রথম স্বামী। বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন তিনি। এই দম্পতির পূর্ণ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। সে বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে এবং তার খালার বাড়িতে থাকে বলে জানা গেছে।
বিয়ের আগে থেকেই সাধনা নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল। যার কারণে স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এর মধ্যেই ২০০৯ সালে তার স্বামী ফরহাদ আকস্মিকভাবে মারা যায়। তার মৃত্যু নিয়ে তখন নানান কানাঘুষা শুরু হয়।
স্বামীর মৃত্যুর পরে সাধনা এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা জানাজানির পর পালিত বাবা মায়ের সঙ্গে জামালপুর শহরের বগাবাইদ বোর্ডঘর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। এ সময় তার উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার জন্য এলাকায় আলোচিত হন।
সাধনা ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্ধ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে দেখা করেন। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সাধনার হাতে একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা লাঞ্চিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দপ্তরে বদলি, নিয়োগ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য করেও সে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যেসব কাজে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর দরকার হতো সেগুলোর জন্য সাধনাকে ঘুষ দিত সুবিধাভোগীরা। এলাকায় ছায়া ডিসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন সাধনা।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন