প্রায় দেড় বছর আগে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা শাহারিয়ার ইফতির (৩১) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় এক শিক্ষিকার। নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেওয়া ইফতির সঙ্গে একপর্যায়ে সেই শিক্ষিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
ভুয়া পরিচয় দিয়েই গত এপ্রিলে শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন ইফতি। এরপর চলতে থাকে তার আসল পরীক্ষা। নিজেকে মেজর হিসেবে জাহির করতে নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি।
তবে, শেষ রক্ষা হয়নি ভুয়া মেজর পরিচয় দেওয়া ইফতির। রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১০।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে আটকের বিষয়টি জানান র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল হক।
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজেকে ভুয়া মেজর পরিচয় দানকারী শাহারিয়ার ইফতিকে আটক করা হয়েছে। ইফতি গত ২৪ এপ্রিল ভুয়া পরিচয়ে এক নারীকে বিয়ে করেন। প্রায় দেড় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন থেকেই তিনি নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
বিয়ের পর স্ত্রীর আস্থা অর্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। এজন্য তিনি ভুয়া আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির পোশাক পরিহিত নিজের এডিটিংকৃত ছবি তৈরি, ওয়াকিটকি কেনেন।
মেজর আশরাফুল করিম বলেন, ইন্টারনেট থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোর সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কাগজে নোট রাখতেন। নিজের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে করতে এমন প্রতারণার আশ্রয় নেন ইফতি। প্রকৃতপক্ষে তিনি সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্য নয়। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি ভুয়া এসএসএফ আইডি কার্ড, ১টি ভুয়া মেজর পরিচয় দানকারী ভিজিটিং কার্ড, ১টি ওয়াকিটকি সেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন অফিসারের পোশাক পরিহিত ২টি ছবি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোর ও কর্মকাণ্ডের (প্রশিক্ষণ) ধারণা সম্বলিত বিভিন্ন কাগজপত্র এবং একটি পুরাতন মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।
আটকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন