শিগগিরই দেশে ফিরছেন না প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সম্প্রতি নালিশ করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে বরখাস্ত হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তিনি তার নিরাপত্তার কথা ভেবে এখনই দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিউইয়র্কে তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ঢাকায় ফিরলে তাকে গ্রেফতার বা হয়রানির বদলে সরকার নিরাপত্তা দেবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে আপাতত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবেন।
বর্তমানে প্রিয়া সাহা নিউইয়র্কে ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের বাসায় বসবাস করছেন। গণমাধ্যমকর্মী কিংবা অপরিচিত কারও সঙ্গেই তিনি দেখা করছেন না। এমনকি মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। তবে জাতিসংঘের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে প্রিয়া সাহা যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে প্রিয়া সাহার এক বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারসহ দেশ-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর হারিয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন