সরবরাহে কোনো রকম ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে বাড়নো হয়েছে সব ধরণের মসলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ এবং এলাচের মতো মসলার দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণে নেই পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো সাধারণ মসলার দামও। প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা।
কোরবানির অন্তত তিন সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে চরম অস্থির দেশের মসলার বাজার। বিশেষ করে দামি মসলা হিসাবে পরিচিত এলাজির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা। একইভাবে লবঙ্গ ২০ টাকা, দারুচিনি ১৮ টাকা, জিরা ৫ টাকা বেড়েছে। শুধুমাত্র কেজিতে ৫ টাকা কমেছে গোল মরিচের দাম। বর্তমানে ভারতে এলাচির দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এলাচি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দামও নিয়ন্ত্রনে নেই। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২ টাকা কমলেও আদার দাম ৬ টাকা এবং রসুনের দাম ১ টাকা বেড়েছে। এখানেও অজুহাত বুকিং রেট বেড়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের মসলার বাজার পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এর মধ্যে গুয়েতেমালা থেকে এলাচি, চীন এবং ভিয়েতনাম থেকে দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ আমদানি করা হয়। এছাড়া ভারত থেকে জিরাসহ আরো কিছু মসলা আমদানি হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে. হাজার মেট্রিক টন এলাচি, সাড়ে চারশ মেট্রিক টন লবঙ্গ, ২০ হাজার মেট্রিক টন দারুচিনি, দেড় হাজার মেট্রিক টন গোল মরিচ এবং ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন জিরার চাহিদা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন