জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সালের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান।
ড. মোহাম্মদ ফয়সাল ওই বিবৃতিতে বলেন, এইচ এম এরশাদের শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান হিসেবে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি সেরা শাসক ছিলেন। বিপুল মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি।
ওই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের এই সাবেক রাষ্ট্রপতি সার্কের ৭ দেশের প্রতিষ্ঠা সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি ও তাদের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুক।
মঙ্গলবার বিকালে রংপুরের কালেক্টরেট মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এইচএম এরশাদ। রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। প্রায় ৮ মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
গত ২৬ জুন এরশাদের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে। ওই দিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এর আগে ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সংসদ ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। এরপর ২০ জানুয়ারি আবারও সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসা নিতে। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই।-অধিকার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন