পেঁয়াজের বর্ধিত দাম এমনিতেই কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে এলে পেঁয়াজের দাম নিয়ে প্রশ্নের মুখে এই আশাবাদ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, আমরা দেখতে চাচ্ছি, দামটা কমে আসে কি না। আমরা আশাবাদী কমে আসবে।
দাম না কমলে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ঢাকার বাজারে মাসখানেকের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, আমদানি না বাড়লে কোরবানির ঈদের আগে দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ টাকায়, যা তিন দিন আগেও ছিল ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভারত থেকে আমদানি কিছুটা কমে যাওয়া এবং বৃষ্টিকে দায়ী করছেন তিনি। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়াচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যে দুটি পয়েন্টে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসে, সেটা প্রতিদিন যেভাবে আসত, তার থেকে কম আসছে। আরেকটি খবর নিতে বলেছি, ভারত যে ১০ শতাংশ ইনটেনসিভ দিত পেঁয়াজ রপ্তানিতে, সেটা নাকি তারা উইথড্রো করেছে। তাছাড়া দুষ্ট ব্যবসায়ীরা তারা সব সময় সুযোগ খোঁজে।
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই এবং কোরবানীর আগে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে চিন্তিত কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি দাম বাড়লো কিনা জিনিসের। এটা রাতের দুঃস্বপ্নের মতো, খোঁজখবর নিই কী বাড়ে, না বাড়ে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন