জয়দেবপুর থেকে ঢাকার পথে প্রথম যাত্রায় ডিজেল মাল্টিপারপাস ইউনিট (ডেমু)ট্রেন। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
দেশের ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডিইএমইউ) ট্রেন চালুর ছয় বছর পর চলাচল উপযোগী নয় বলে নতুন করে এই ট্রেন কেনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল।
পরে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক এবং ঢাকার মধ্যে শাটল ট্রেন চালুর লক্ষ্যে ডেমু সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেমু চলাচল উপযোগী নয়। অন্য কোনো ট্রেন আমদানি করতে হবে।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,‘এর আগে কেনা ডেমু ট্রেনগুলো যেহেতেু যাত্রীদের উপকারে আসেনি এবং অনেকগুলো নষ্ট হয়ে আছে। তাই নতুন করে এই ট্রেন কেনা হবে না’।”
এ প্রকল্পটি পুনর্গঠন করে অন্য কোনও ট্রেন আমদানির নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
এছাড়া ঢাকা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত সকালের অফিস সময়ের ট্রেনটি বিরতিহীন করার নির্দেশও দেন শেখ হাসিনা। তবে পরের ট্রেনগুলোকে সব স্টেশনে বিরতি রাখতে বলেন তিনি ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জাঁকজমক অনুষ্ঠানে দেশে প্রথম ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ডেমু ট্রেন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ৪২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ডিইএমইউ ট্রেন চীন থেকে আমদানি করা হয়। এই প্রকল্পের জন্য সরকারের মোট ব্যয় হয় ৬৫৫ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) মিহির কান্তি গুহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমদানি করা ২০ ট্রেনের অর্ধেকই বিকল। ঢাকা-কুমিল্লা, আখাউড়া-সিলেট, লালমনিরহাট-পার্বতীপর, লাকসাম-চট্টগ্রাম ও লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ডেমু চলাচল বন্ধ রয়েছে।
“এখন ঢাকা-গাজীপুর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটে ১০ সেট ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। চার সেট ট্রেন মেরামতের অপেক্ষায় আছে। এগুলো ঠিক হলে আরও কয়েকটি রুটে চলাচল শুরু করবে।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন