যশোরের মনিরামপুরে হানিফ পরিবহনের চাপায় দুই মেধাবী স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খইতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- ধলিগাতি গ্রামের খাইরুল বাশারের ছেলে আশিকুর রহমান ও জামলা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আল-আমিন। তারা দুজন মণিরামপুর উপজেলার ধলিগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার পাল বলেন, নিহত দুইজনই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্র ছিলো। ক্লাসে আশিকুরের রোল নম্বর ছিল ১ ও আল আমিনের ২।
নিহত আশিকুর রহমানের চাচা নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আশিক ও আল-আমিন কোচিং শেষে বাইসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহন দুইজনকেই চাপা দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান আশিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত আল-আমিনকে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আশিকুরের মৃত্যু হয়েছে। আহত আল-আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সদর হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্রই আল-আমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে তাদের মৃত্যুর খবর শুনে সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায় বিক্ষুব্ধ সহপাঠীসহ এলাকাবাসী পরিবহনের চালকসহ জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর (সুন্দলপুর বাজার) কাঠের গুড়ি ফেলে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সাথে কথা বলে চালকসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠিয়ে নেয়া হয়।
মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক অবরোধে যানবাহন চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এসময় চালকসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ উঠিয়ে নেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন