কলেজছাত্রী প্রেমিকার অনড় অবস্থানের কারণে অবশেষে প্রেমিক বিয়ে করতে বাধ্য হলেন। দীর্ঘদিন প্রেম করার পরও প্রেমিক বিয়ে প্রত্যাখ্যান করায় মুন (১৯) নামের ওই কলেজছাত্রী নিরুপায় হয়ে বিষপান করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বিষপান করলেও তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপর গভীর রাতে সামাজিক চাপে প্রেমিক আসাদ (২৩) তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন।
এ সময় কলেজছাত্রীর শরীরে স্যালাইন চলছিল। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আসাদ বিষ্ণুপুর গ্রামের কালুমিয়ার ছেলে এবং তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। প্রেমিকা মুন একই ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আজাদের মেয়ে ও দুলাই ডা. জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এলাকার বেশ ক’জন বাসিন্দা জানান, আসাদের সঙ্গে কলেজছাত্রী মুনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তারা গত ৩-৪ দিন আগে বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে অবস্থানও করেন। কিন্ত বিয়ের কথায় বার বারই প্রেমিক এড়িয়ে যান। এর আগেও আসাদ তাকে বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন টালবাহানা করেন। তাই মঙ্গলবার মেয়েটি বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল সঙ্গে করে আসাদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এতে আসাদ ও তার বাড়ির লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তারা আসাদের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে অস্বীকার করে এবং মেয়েটিকে বেদম মারধর করেন। এতে আহত মেয়েটি আত্মহত্যার জন্য তার সঙ্গে রাখা বিষের বোতল থেকে বিষপান করেন।
স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আতাইকুলায় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করায়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। স্থানীয় জনগণ ও মেয়েটির আত্মীয় স্বজন বিয়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে প্রেমিক আসাদকেও ধরে নিয়ে আসা হয়। সাঁথিয়া থানা ও পরে সুজানগর থানা প্রশাসনও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
এরপর দীর্ঘ দেন দরবার করার পর পার্শ্ববর্তী সুজানগর উপজেলার চিনাখড়ায় আসাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে এক লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শেষ পর্যন্ত সামাজিকভাবেই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে আর কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়নি।
পাঠক মন্তব্য
This news will create more problem in the society.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন