ইসলাম বলেছেন, ‘পূর্বে আমরা খারাপ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। ব্যালট পেপার ছাপানোর ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস নিয়ে বির্তক রয়েছে। ইভিএম নিয়েও বির্তক রয়েছে। আমি তা অস্বীকার করছি না। ইভিএম পদ্ধতি চালু হয়েছে ২০০৮ সালে। ১৭টি উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৮ জুন ইভিএমের মাধ্যমে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বুধবার (১২ জুন) বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একা গণতন্ত্র ঠিক রাখতে পারব না। গণতন্ত্র ঠিক রাখতে হলে ভোটার, রাজনীতিবিদ, প্রার্থী ও সুশীল সমাজকে আগে ঠিক হতে হবে। পত্রিকা খুলে দেখবেন কেউ কেউ বলছেন আমরা নাকি নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিচ্ছি। আবার কেউ বলছেন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে।’
কর্মশালায় প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে ব্যালট পেপার রয়েছে। মেশিন থেকে র্যালট পেপার কিভাবে ইস্যু করবে তা ভালোভাবে জানবেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নারায়ণগঞ্জ ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ মাছুমম বিল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা অঞ্চল) মো. রকিবুল মণ্ডল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আফিফা খান, বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন