রাজধানীর চামেলীবাগে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর বাবা মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে হত্যা করেছিলেন ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী ঐশী। বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে বখে যাওয়া সেই ঐশী এখন পাল্টে গেছেন। চরম উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঐশী রহমান এবার রমজানের নিয়মিতই রোজা রাখছেন।
শুধু তাই নয় নিয়মিত নামাজ পড়ছেন। নামাজে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য কাঁদেন তিনি।সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঐশী যেন একেবারেই পাল্টে গেছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারা কর্তৃপক্ষ ওই তথ্য জানিয়েছেন।
কারাসূত্র জানিয়েছে, প্রায়ই অনুশোচনায় নির্বাক ও নিস্তব্ধ হয়ে থাকেন ঐশী। কনডেম সেলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদেন। এবার রমজানের শুরু থেকে রোজা রাখছেন ও পাশাপাশি নামাজও পড়ছেন নিয়মিত। ঐশীর জীবন থেকে কলঙ্কিত নেশা জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। সে এখন অনেকটা স্বাভাবিক। কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। মাঝেমধ্যে অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াতে দেখা যায়। নাওয়া-খাওয়ার দিকে সে বিশেষ একটা মনোযোগী নয়।
প্রসঙ্গত, চামেলীবাগে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর বাবা মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে হত্যা করেছিলেন ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী ঐশী। এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হন সেই সময় পলাতক ঐশী। পরবর্তী সময়ে বন্ধুর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ঐশী। এর পর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে নিজ মা-বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় ঐশী। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়।
আদালত ৩৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঐশীকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করে এবং তার বন্ধু রনিকে দুবছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই থেকে ঐশী স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আছেন।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন