শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের ছিটপাড়া থেকে তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজার সড়কের পাশে অবস্থিত নালিতাবাড়ী শহীদ আবদুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজ। এই কলেজের সীমানা প্রাচীরটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এটিকে এখন বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেকা দেয়া রয়েছে। বাঁশের খুঁটি কী ঠেকাতে পারবে এ পাঁচিল।
জরাজীর্ণ এ সীমানা প্রাচীরের প্রায় ২০০ ফুট হেলে যাওয়ায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পোস্ট অফিসসহ ১০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করছে। দ্রুত সীমানা প্রাচীরটি সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে যে কোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৯৬ সনে শহীদ আব্দুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার বেশ কয়েক বছর পর তারাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৮ ফুট উচ্চতার প্রায় ২০০ ফুট লম্বা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সীমানা প্রাচীরটি সংস্কার না করায় তা বর্তমানে হেলে পড়েছে। কয়েকটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে দেয়ালটিকে ঠেকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশীদ জানান, শহীদ আবদুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজের সীমানা প্রাচীরের পাশের পথ দিয়ে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রাচীরটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
গোবিন্দ নগর গ্রামের শিক্ষার্থী ফারিহা ইয়াসমীন বলে, প্রতিদিন ভয়ে ভয়েই এই পথটুকু অতিক্রম করে স্কুলে যাই। পথচারীরাও জানান একই কথা।
এ ব্যাপারে কথা হয় শহীদ আবদুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে। তিনি সীমানা প্রাচীরটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে নতুনভাবে করার এখতিয়ার নেই। তাই প্রাচীরটি নির্মাণের জন্য আমি কলেজ গর্ভনিং বডির প্রতিটি সভায়ই উত্থাপন করি। কিন্তু তারা কেউ আমার কথায় কান দেন না। তবে তিনিও দ্রুত সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণের দাবি জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন