হাসপাতাল গেটে সাইকেল রাখায় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিলন মাহমুদ ক্ষুব্ধ হয়ে কিল-ঘুষি মেরে চোখ এবং ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছেন রোগীর বাবার। শনিবার বিকালে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি হলেন, বেড়া পৌর এলাকার সানিলা গ্রামের মৃত রাজেম মোল্লার ছেলে সোনাই মোল্লা (৩৫)। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিলন মাহমুদ আত্মগোপন করেছেন।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
আহত সোনাই মোল্লা বলেন, ‘আমি একজন প্রবাসী। আমার ৫ বছরের ছেলে মোস্তাকিম গুরুতর জখম হওয়ায় শনিবার বিকালে আমি তাকে বাইসাইকেলে করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তাড়াহুড়া করে গেটে বাইসাইকেল রেখে দ্রুত জরুরি বিভাগে যাই। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে দেখি আমার বাইসাইকেলটি এক ব্যক্তি লাথি মেরে ফেলে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন। পরে জানতে পারি তিনি ওই হাসাপাতালের চিকিৎসক।’
তিনি বলেন, ‘আমি গালাগাল করতে নিষেধ করলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন ডা. মিলন মাহমুদ। আমি আহত হয়ে পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
বেড়া থানার ওসি শাহেদ মাহমুদ থানায় দায়ের করা অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার বিকালে ডা. মিলন মাহমুদ উত্তেজিত হয়ে সোনাই মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং তার বাইসাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এতে সোনাই মোল্লার বাঁ চোখ ও ঠোঁট ফেটে যায়। এ ছাড়া শরীরের নানাস্থানে জখম হয়।
এ ব্যাপারে ডা. মিলন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেবেন।
স্থানীয়রা জানান, ডা. মিলন মাহমুদের বিরুদ্ধে রোগী পেটানোর অভিযোগ নতুন নয়। অশালীন আচরণ, রোগীকে গালাগাল ও পেটানো; এটা তার পুরানো অভ্যাস।
বেড়া থানার ওসি শাহেদ মাহমুদ বলেন, তদন্ত শেষে দোষ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন