বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পড়তে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। এ সময় খোলা আদালতে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদানকালে রবিবার (১৯ মে) হাইকোর্টের অ্যানেক্স-৬ নম্বর বেঞ্চে এ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল।
উল্লেখ্য, দেশের ক্রান্তিকালে ১৯৭১ সালের উত্তাল মুহূর্তে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিকনির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ একাত্তরের রণাঙ্গনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। আর একাত্তর পরবর্তী সময়ে সেই ভাষণের মধ্যেই সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষ খুঁজে নিয়েছে তাদের মুক্তির পথ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত ও এ বি এম আলতাফ হোসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ আর এম কামরুজ্জামান কাকন ও শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আদালত রায়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদেরকে কোনো বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যাবে না।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণে ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে সরকার যে আইন ও প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা আর কার্যকর থাকছে না।
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণে এখন থেকে বয়সের কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না বলেও জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
এখন তে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পূতিও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবী করতে পারবে- যেহেতু বয়সের কোন ব্যাপার নেই!
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন