ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে বলে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পিবিআিই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নুসরাত হত্যার ঘটনায় মামলা সম্পর্কে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাককে জানান, এই মামলা এই পর্যন্ত ২৩জন গ্রেফতার হয়েছে। অনেক আসামি জিজ্ঞাবাদের অপেক্ষায় আছে। এই মামলার অন্যতম আসামি শাকিলকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া পাঁচজন, শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহার মনি রয়েছে। এরাসহ মামলায় আটজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে।
তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের সূত্র জানায়, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কমপক্ষে ২৫ জন জড়িত। চার্জশিটে এদের প্রত্যেকের নাম আসবে।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই ২৩ আসামি গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখনও ৭ জন রিমান্ডে রয়েছে। সবার রিমান্ড শেষ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এ সময় তাকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মৃত্যুবরণ করেন।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন