মাহীবি হাসান। পড়াশোনা করেন বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে। তার বিরুদ্ধে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। একই জেলায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে ইডেনের সমাজকর্ম বিভাগের সায়মা কালাম মেঘার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। স্বপ্ন দেখিয়েছেন সুখের সংসারের। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি। মেঘাকে জানিয়ে দিলেন তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।
এদিকে মেঘা তার প্রেমের সম্পর্কের কথা তার পরিবারের সদস্যদের আগেই জনিয়েছিলেন। এর জন্য মাহীবি হাসানকে বিয়ের বিষয়টি অবহিত করতে বলা হয় মেঘাকে। মেঘাও বিষয়টি তার বয়ফ্রেন্ড মাহীবিকে জানান। তবে এবার বেঁকে বসেন তিনি। মেঘাকে জানিয়ে দিলেন বিয়ে করা সম্ভব নয়। এনিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল ভিডিও কলেই। এক পর্যায়ে ভিডিও কল রেখেই ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেন মেঘা।
ইডেন কলেজের মেধাবী ছাত্রী মেঘার জীবনের গল্পটা এখানেই শেষ। তবে তার জীবনের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার শিকার না হলে তাদের একটি সুখের সংসার হতে পারতো। মেয়েকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোক বিরাজ করছে।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেঘার চাচা আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি আমরা। রিপোর্ট পেলে এঘটনায় মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মেঘার বড় ভাই সম্রাট জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেঘার নিজ জেলা ঝালকাঠিতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে রোববার মেঘার সঙ্গে ওই যুবকের ভিডিও কলে বিয়ে নিয়ে কথা হয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেঘা ভিডিও কল রেখেই আত্মহত্যা করেন। তার বোনের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
এদিকে ইডেন কলেজ ছাত্রী মেঘার প্রতারক বয়ফ্রেন্ড মাহীবি হাসান তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখেছেন। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন