নগরের কোতোয়ালী থানার কাজীর দেউড়ির একটি বহুতল আবাসিক ভবনের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছে কবিতা রানি (১১) এক গৃহকর্মী। প্রথমে ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেটের তার বেয়ে দোতলায় এসে আটকে যায় সে।এরপর স্থানীয় লোকজন শাড়ি বেঁধে তাকে নামিয়ে আনে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে এসএস খালেদ সড়কের স্যানমার এলোভেরা নামের আবাসিক ভবনের ষষ্ঠতলায় ‘বি-৪’ ফ্ল্যাটের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকৌশলী বিকিরণ বড়ুয়া রাসেলের বাসার শিশুকর্মী ৬ তলা থেকে তার বেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কবিতা রানি সাংবাদিকদের জানায়, গৃহকর্মী মারধর করায় সে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে। তাই কিচেনের ব্যালকনির পাশ দিয়ে তার বেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনা দেখতে শত শত কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ছুটে আসে কোতোয়ালী থানার টহল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও নন্দনকানন স্টেশনের দুইটি গাড়ি।
কাজীর দেউড়ি এলাকার কলেজছাত্র সাফায়াত কবির বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটি দোতলার সানশেডে আটকে পড়েছিল। সে নিচেও নামতে পারছিল না, আবার উপরেও উঠতে পারছিল না। কয়েকজন সাহসী তরুণ তাকে শাড়ি বেঁধে নামিয়ে আনেন। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস চলে আসে ঘটনাস্থলে।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বিকিরণ বড়ুয়ার মা অপর্ণা বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে, বউমা ও আমি থাকি এ ফ্ল্যাটে। মেয়েটি এসেছে মাত্র ৫ দিন হলো। বউমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই মেয়েটিকে আনা হয়েছে। অনেক আদর-যত্ন করি আমরা। মারধরের প্রশ্নই আসে না। সে হয়তো বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছে। সকাল পাঁচটায়ও সে একবার নিচে চলে যায়। তখন দারোয়ানরা তাকে ধরে আনে।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ৯৯৯-তে ফোনে বিষয়টি জানান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে আমাদের টহল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন