সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, তারপর থেকেই প্রেম কক্সবাজারের ছেলে মো. নুরুল আফসার (২১) ও রামু সরকারি কলেজের ছাত্রী জমিলা আক্তার টুম্পার (২০)। প্রেমিক ছিলেন ইয়াবা কারবারি। তার হাত ধরে এই পথে আসেন প্রেমিকাও।
তারা ব্যবসার প্রসার ঘটান কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, সালমা আক্তার (২০) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামে আরও এক প্রেমিক জুটির সঙ্গে ধরা পড়েন তারা।
আজ শনিবার সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন নুরুল-টুম্পা ও সালমা-জাহাঙ্গীর প্রেমিক জুটি। পরে তাদের কাছ থেকে জানা যায় চক্রের সকল তথ্য। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় ২০০০ পিস ইয়াবা।
এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দুই জুটির ইয়াবা কারবারির ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরেন বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান হাবীব। তিনি জানান, আটককৃতরা হলেন কক্সবাজারের গর্জনিয়া গ্রামের শফিউল আলমের মেয়ে জমিলা আক্তার টুম্পা ও তার প্রেমিক একই এলাকার দক্ষিণ বাংলা বাজার নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের পুত্র নুরুল আফছার। বাকি দুজনও হলেন টেকনাফ থানার মিনা বাজার (নূর কবির মেম্বর বাড়ির পার্শ্বে) গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের মেয়ে সালমা আক্তার ও তার প্রেমিক একই এলাকার মো. ফরিদুল আলমের পুত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম। এদের মধ্যে টুম্পা ও সালমা পরস্পর বান্ধবী। আফসার কক্সবাজার পলিটেকনিক কলেজের ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্র।
তিনি জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর আমেরিকান এর বাড়ির সামনে বারো আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। এই রুটে ঢাকামুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব- ১৫-১২৬৪) তল্লাশি চালান। পরে সেখানে এই দুই যুগলের কাছ থেকে ২০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। পরে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি আহসান হাবীব আরও জানান, থানায় এনে নুরুল-টুম্পা ও সালমা-জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তারা তারা নিজেদেরকে পরস্পরের প্রেমিক-প্রেমিকা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবী বলে জানিয়েছেন। এই দুই প্রেমিক যুগল দীর্ঘদিন ধরে একত্রে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে আসছেন। প্রত্যেকবার ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে পান বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় মাদক আইনের আটক চারজনের বিরুদ্ধে মামলায় হয়েছে বলেও জানান ওসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন