টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বেড়াতে আসা পাকিস্তানী এক কিশোরী ছাত্রীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে অপহরণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাই ওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, নির্যাতিতার বাবা উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
সেখানে পাকিস্তানী এক নারীকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচ মাস আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর তার স্ত্রী পাকিস্তানী নাগরিক ছয় মাসের ভ্রমণ ভিসায় মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন।
গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আবদুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দী অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ধর্ষক আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন