রওশন নিতুলের ফেসবুক থেকে :
পাকিস্তানি এক কিশোরী আজ বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যেই বাঙালিরা এই ধর্ষণে একাত্তরের বিজয় খুঁজে পাচ্ছে তারা প্রত্যেকে ঐ ধর্ষকের সমান অপরাধে অপরাধী। তারা প্রত্যেকে পশু।
মানুষকে মানুষ ভাবতে শেখেন। মানুষকে সম্মান করতে শেখেন। মানুষ ছাড়া দেশের অস্তিত্ব হয় না। এইসব অসুস্থ মানুষদের যারা দেশপ্রেমিক বলবে তাদেরও মাথার ডাক্তার দেখানো উচিত। এদের সাপোর্ট করা মানুষেরাও পটেনশিয়াল রেপিস্ট।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানী এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। মাকে নিয়ে ৬ মাসের ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিল ভুক্তভোগী ঐ কিশোরী । এ ঘটনায় বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তিনি উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে উঠার পর থেকেই তার স্বামীর বড় ভাই আবুল হোসেনের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়।
মরিয়া হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ঐ কিশোরীকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে সে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন