ইউপি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয় মাদারীপুরের কালকিনি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলামকে। এ ঘটনার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় তাকে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে এ রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র বেঞ্চ।
সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার, কালকিনির ইউএনও এবং কালকিনি থানা পুলিশের ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
নির্যাতিত সেই সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম এবার কালকিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ১১২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেদ আলী পান ৭ হাজার ১১৭ এবং নিতাই চক্রবর্তী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৯।
শহিদুল ইসলাম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো সাধারণ মানুষ অন্যায়-অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগকারীদের পছন্দ করে না। তিনি সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যস্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগরে নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারের সমর্থকরা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাতে চাঁদাবাজির মামলায় শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন