নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল-নূর মসজিদে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত নারায়ণগঞ্জের ওমর ফারুকের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় লাশ শনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন।
ওমর ফারুক নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ২২নং ওয়ার্ডের এইচ এম সেন রোড রাজবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। সে নিউজিল্যান্ডে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। তার পিতার নাম মৃত আবদুর রহমান। তার স্ত্রী সানজিদা জামান নিহা বর্তমানে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১ ভাই ৩ বোন। ওমর ফারুক ২ বোনের ছোট।
ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা জামান নিহা দেশ রুপান্তরকে জানান, তার স্বামীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫১ মিনিট আর নিউজিল্যান্ড সময় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওমর ফারুকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সে নিউজিল্যান্ড চলে যায়। পরে গত ১৬ নভেম্বর ছুটিতে দেশে আসেন। পরবর্তিতে সে ১৮ জানুয়ারি পুনরায় নিউজিল্যান্ড চলে যান।
ওমর ফারুকের ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তরকে জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আমরা ফোন করে জানতে পারি নিউজিল্যান্ডে মসজিদে বন্ধুকধারীর হামলায় নিহতদের মধ্যে আরও দুজন বাংলাদেশির লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওমর ফারুকও রয়েছে। ওমর ফারুকের পার্সপোর্ট নাম্বার হলো বি সি-০১৪৪৪১০।
এদিকে ওমর ফারুকের লাশ শনাক্তের খবরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। খবর পেয়ে পরিবারটিকে সান্ত্বনা জানাতে ছুটে আসছেন গ্রামের লোকজন। নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ওমর ফারুকের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন স্ত্রীসহ স্বজনেরা।
ক্রাইস্টচার্চে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ ওমর ফারুকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনেরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন