বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা শ্বশুরের অবৈধ বাড়ি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে বিফল হলেন না দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আদালতের নির্দেশে বুড়িগঙ্গা তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যে অভিযান চলছে, তাতে বুধবার ভাঙা পড়ে দুদকের আইনজীবীর শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তিটি।
কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচরে তিন তলা এই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরুর আগে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন কাজল।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভবনটি অবৈধভাবে উঠানো হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “ভবনটির মালিক মোশাররফ হোসেন কাজল ভাঙ্গার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোনো ভ্যালিড কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।”
তবে কাজল জানান, এই সম্পত্তিটি তার শ্বশুরের ছিল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি ১৯৬১ সালে কেনা। এটা অবৈধ না, সব ধরনের দলিলপত্র আছে। কোনো ধরনের নোটিস ছাড়া এবং কাগজপত্র না দেখেই এটা ভেঙে ফেলে।।”
বিআইডব্লিউটিএ’র পদক্ষেপকে ‘বড় ধরনের অত্যাচার’ আখ্যায়িত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী হাকিমের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দুদকের আইনজীবী কাজল।
তিনি বলেন, “নদী তীরের সীমানা নির্ধারণ না করেই এটা করা হয়েছে। একটা বেকুব ম্যাজিস্ট্রেট কাজটা করেছে। পাশেই একটা বিল্ডিং আছে, সেটা ভাঙা হয় নাই। কারণ সেটা বিআইডব্লিউটিএর একজন ইঞ্জিনিয়ারের বিল্ডিং ছিল।”
বাড়ি ভাঙার বিষয়ে ক্ষতিপূরণের মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী কাজল।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল (ফাইল ছবি) দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল (ফাইল ছবি)
বুধবারের অভিযানে বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন আগে জানিয়েছিলেন, সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত নদীর দুই তীরে ৬০৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সবই ভাঙা হবে।
ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন এই এলাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন জানিয়েছেন।
আগে দুই দফায় ছয় দিনে ভাঙা হয়েছিল ১২শ' স্থাপনা। এর মধ্যে পাকা ভবন ১০৭টি, আধাপাকা ভবন ১২১টি, স’মিল ৮০টি, কারখানা ৮টি, টিনের ঘর ও টংঘর ৮৮৩টি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন