‘আমি দোকানে ছিলাম। মোবাইল ফোনে ডেকে কর্মচারীকে বাসায় পাঠাই। তিনি গিয়ে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। পরিস্থিতি খারাপ ভেবে টয়লেটের পাশ দিয়ে ঘরে ঢুকে স্ত্রী নার্গিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। বিছানায় মৃত মায়ের পাশে বসে কাঁদছিল এক বছরের ছোট ছেলেটি, পাশেই ঘুমিয়েছিল বড় সন্তান নাইম (০৫)।’
বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় নিহত নার্গিসের (২৫) স্বামী হারুন পুলিশকে এ কথাগুলো বলেন।
এর আগে রাতে উপজেলার বোয়ালী গ্রামে নিজ ঘরে নার্গিসকে একা পেয়ে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত নার্গিস পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বোয়ালী (মধ্যপাড়া) গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই ছেলেসন্তানের জননী। হারুন মধুপুর পৌর শহরের আলাউদ্দিন সুপার মার্কেটের সেবা টেলিকমের মালিক। হারুন বেশ কয়েক বছর আগে এই গ্রামে জমি কিনে বাসা করেছেন।
হারুন জানান, রাতে তিনি দোকানের এক কর্মচারীকে শিশুর জন্য দুধ নিয়ে বাড়িতে পাঠান। ওই কর্মচারী বাড়িতে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা আটকানো শিশুসন্তানের কান্না শুনতে পেয়ে হারুনকে জানান।
হারুন দূরে থাকায় মোবাইলে অপর একজনকে বাসায় যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গিয়ে ঘরে ঢুকে নার্গিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি জানালে আমরা পুলিশে খবর দিই।
মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, এ মুহূর্তে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি এখনও ক্লুলেস। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন