আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে অন্যান্য কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে তারেক রহমান ইস্যু ছাড়াও রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় সংঘর্ষ ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়া নিয়ে আলোচনা ও সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানা গেছে।
বৈঠক শুরুর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি, বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, রোববার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ অভিযোগ দিয়েছে যেহেতু উনি (তারেক রহমান) কনভিকটেড, পলাতক ব্যক্তি, তাই এভাবে তিনি মনোনয়নপত্র যাচাই করতে পারেন না। আরেকটি ব্যাপার হলো হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা আছে, লাইভে এসে তিনি এভাবে কথা বলতে পারেন না।
প্রথম দিন এ ধরনের সাক্ষাৎকার নেয়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আপত্তি করে। এর মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারেক রহমান।
এর আগে, রোববার সকালে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দেন তারেক রহমান। ওইদিন সন্ধ্যায় এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে কথা বলেছেন। এটি নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশনা আছে- তারেক রহমানের বক্তব্য কোনো প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। সুতরাং তারেকের এই কাজ সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার সামিল।
প্রসঙ্গত ইসির পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন