একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য বা ভুল তথ্য দিলে নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) ১৯৯১’ প্রয়োগ হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আইনে শাস্তি প্রসঙ্গে আইনের ৪ ধারায় চাকুরী ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তিনি কমিশন/রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ব্যতীত তাহার দায়িত্ব গ্রহণ ও পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না। তাছাড়া নিযুক্ত কর্মকর্তা সম্পূর্ণ কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের আদেশ-নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবেন।
এছাড়াও আইনের ৫ ও ৬ ধারায় যথাক্রমে নির্বাচন-কর্মকর্তার শৃঙ্খলামূলক ও দণ্ড প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কমিশন/রিটার্নিং কর্মকবর্তার আদেশ-নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীনে কোনো অপরাধ করলে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবে। এজন্য অভিযুক্ত নির্বাচনী কর্মকর্তা চাকুরী বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এজন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে চাকুরী থেকে অপসারণ/বরখাস্ত/ বাধ্যতামূলক অবসরসহ পদাবনতি বা পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে।
এছাড়াও নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্তির পর কোনো কর্মকর্তা কমিশন/রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া দায়িত্ব গ্রহণ বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত কর্মকর্তা অনধিক এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব অর্পিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী/ব্যক্তি আনুষ্ঠানিক কোনো নিয়োগপত্র না পেলেও নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়ী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন কোনো সরকারি/আধা-সরকারী/ স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর/প্রতিষ্ঠান এমনকি বেসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের কাছে লিখিতভাবে কোনো তথ্য সরবরাহ ও কর্মসম্পাদনের জন্য কোনো নির্দেশ দিলেই সেই দপ্তর/প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী (যারা সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান ও কর্মসম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত) নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন